মৌলভীবাজারে গত কয়েকদিন থেকে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে খেটে খাওয়া মানুষের।

রোববার (২ জানুয়ারী) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মৌসুমে এটিই শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল ১ জানুয়ারি তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল-বিকাল শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ। চা শ্রমিকরা পড়েছেন দুভোর্গে। অন্যান্য বছরের ন্যায় বে-সরকারি এবং সরকারিভাবে কম্বল বিতরণ আনুপাতিকহারে কম লক্ষ করা যাচ্ছে।

 

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জাহেদুল ইসলাম মাসুম জানান, গত দুদিন থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এখন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে। সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও থাকবে। এতে কয়েকদিন শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।

তিবি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। ধীরে ধীরে এখানকার তাপমাত্রা কমছে। অতীত রেকর্ড অনুযায়ী তাপমাত্রা আরও নীচে নামতে পারে।’

এদিকে, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের বেশি দেখা যাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালে। গরম কাপড়ের দোকানে বিক্রি বাড়ছে। গবাদি পশুগুলোকে চটের বস্তা ও পুরাতন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা গেছে।

 

সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও হাসপাতালে চাপ কম। জেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন ঠাণ্ডাজনিত রোগের ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে অনেকে সুস্থ হচ্ছেন। এদের মধ্যে যারা একটু বেশি অসুস্থ, যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।’

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘শীতার্ত মানুষের জন্য জেলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার কম্বল ও নগদ ৩ লাখ টাকা এসেছে। এগুলো ধাপে ধাপে বিতরণ চলছে। আরও কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’